শেখ মোস্তফা কামাল,কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ যশোরের কেশবপুরে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষ নদে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১১জুলাই) বিকেলে কপোতাক্ষ নদে উপজেলার ত্রিমোহিনী মোহনা খেলাঘর আসর এর পক্ষ থেকে ওই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। নৌকা বাইচ দেখার জন্য নদের দু’পাড়ে হাজার-হাজার মানুষের ছিল উপচে পড়া ভিড়।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় পাশ্ববর্তী উপজেলার  বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ৭টি দল অংশগ্রহণ করেন। কপোতাক্ষ নদের গোপালপুর আড়ু মাথা থেকে ত্রিমোহিনী বাজারের সাঁকো পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার দুরত্বের ব্যবধানে ওই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের নৌকাবাইচ দল। দ্বিতীয় হয়েছে কেশবপুরের গোপসেনা ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে সাগরদাঁড়ি দল।
উপজেলার ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার তুলে দেন ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আনিছুর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হারুন অর রশিদ, আনারুল ইসলাম, মোহনা খেলাঘর আসরের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ, আলামিন হোসেন, আবুল বাশার, সনজিৎ দত্ত, গ্রাম পুলিশ মুনজুর রহমান প্রমুখ।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে আসা উপজেলার পাঁজিয়া গ্রামের অলিয়ার রহমান বলেন, এক সময় নৌকা বাইচ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ছিল। বর্তমানে সেটি বিলুপ্তির পথে। কপোতাক্ষ নদের বুকে অনেক দিন পর নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা হওয়ায় দেখতে এসেছি।
ত্রিমোহিনী মোহনা খেলাঘর আসরের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে ও ঈদ উপলক্ষে মানুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য কপোতাক্ষ নদে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপজেলার ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আনিছুর রহমান বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় হাজার-হাজার মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে যে, মানুষ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এখনো আগলে রেখেছে। নৌকা বাইচের ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে ও মানুষকে আনন্দ দিতে আমাদের সকলেকে এগিয়ে আসতে হবে।
ঈদ উপলক্ষে স্থানীয় যুবকদের এমন আয়োজন করার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানান তিনি।